সেইন-গোপ্তা সাহেব বীরদর্পে বলিলেন, আমার ঐ খদ্দর এক শ' টুকরা করিয়া লেংটি পরিব।
নলিনীরঞ্জন কহিলেন, সে জানি, কিন্তু এক শ' টুকরা কেন, উহার একগাছি করিয়া সূতা ভাগ করিয়া দিলেও যে ভাগে কুলাইবে না।
সুভাষ বলিলেন, বস্ত্র বয়কট পরে হইবে, আপাততঃ মহাত্মাজীর বয়কট সহিবে না।
কিরণশঙ্কর কহিলেন, ঠিক, ঠিক।
মহাত্মা আসিলেন, লোকমুখে খবর লইয়া দেশে ফিরিয়া certificate পাঠাইয়া দিলেন, 'ফিলিস সরকাস' মন্দ জমে নাই।
নেতারা টুঁ শব্দটি করিলেন না, পাছে রাগ করিয়া তিনি স্বরাজের চাবি-কাঠিটি আটকাইয়া রাখেন! বাঙলাদেশের যেখানে যত আশ্রম ছিল, তাহার তপস্বীরা বগল বাজাইয়া নাচিতে লাগিল,—কেমন! কর একজিবিশন!
আমরা বাইরের লোকেরা ভাবি, complete independence বটে! তাই Dominion Status-এ এদের মন উঠে না। আরও একটা কথা ভাবি, এ ভালই হইয়াছে যে দেশবন্ধু স্বর্গে গিয়াছেন। 'ফিলিস সরকাসে'র বিবরণ Young India-র পাতায় তাঁহাকে চোখে দেখিতে হয় নাই।
শুনিয়াছি, জাতীয় প্রতিষ্ঠান কংগ্রেসে এবার নেহেরু-রিপোর্ট পাশ হইয়াছে। বহুবিধ ছলচাতুরি পূর্বক সেই আরজি অবশেষে বিলাতী পার্লামেন্টে পেশ করা হইয়াছে। আশা ত ছিলই না, তবে সে দেশের পার্লামেন্ট নাকি এবার মেয়েদের হুকুম-মত তৈরি; সুতরাং এখন তাহারাই একপ্রকার ভারতের ভাগ্যবিধাতা। প্রবাদ, মেয়েরা দয়াময়ী, এবার তারা যদি এ দেশের দুর্ভাগা পুরুষদের কিছু দয়া করে। আমেন! ইতি