এই ওয়েবসাইটটি সবচেয়ে ভালো ভাবে দেখতে হলে Mozilla Firefox, Microsoft Edge অথবা Apple Safari browser ব্যবহার করুন।

অজ্ঞাত রচনা  :  'বামুনের মেয়ে'র নাট্যরুপ         
পরিচ্ছেদ: / 1
পৃষ্ঠা: / 4
আচ্ছা, খুব একটা নোংরা জিনিস, যেমন—

হাঁ, হাঁ, ঠিক তেমনি। ঠিক তেমনি। তোমার পায়ে পড়ি অরুণদা, বাড়ি যাও—ক্ষিদে-তেষ্টায় তোমার গলা যে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল।

তা যাক। বলিয়া অরুণ ক্ষণকাল স্থির থাকিয়া পুনরায় কহিল, আমি নিজে থেকে কোন দিন সমাজও ত্যাগ করিনি, অন্য ধর্মও গ্রহণ করিনি। শুধু আমার খুড়ীমাকে মায়ের মত এবং অনাথ বোনটিকে বোনের মতই আশ্রয় দিয়েচি। কেবল এই অপরাধেই যে তোমাদের চোখে এত ছোট হয়ে যেতে পারি, এ কথা কখনো ভাবিনি নিরুপমা। আমিও না, সন্ধ্যাও না। বরঞ্চ গ্রামের মধ্যে তোমরাই শুধু আমাদের ভালবাস, এই আমরা দু-ভাইবোনে ভাবতুম। এতদিন উল্টো বুঝে না জানি তোমার প্রতি আমরা কত উৎপাতই করেচি।

সত্যি নাকি? কৈ কিরকম উৎপাত একটা শুনি?

অরুণ নিজেও একটুখানি শুষ্কভাবে হাসিয়া কহিল, জেনে করিনি বলে মনে নেই নিরু। নইলে মনেও থাকত, বলতেও নিশ্চয় পারতুম।

তাহলে মনে করে এসে তখন ঝগড়া করো। এখন বাড়ি যাও। বেলা আর নেই—মুখে একটু জলটল দাও গে।

হাঁ, যাই! আমাকে মাপ করো ভাই, আর আমি তোমাদের বাড়িতে উপদ্রব করতে আসব না। বলিয়া অরুণ ধীরে ধীরে প্রস্থান করিল।

সে চলিয়া গেলেও নিরুপমা পাষাণমূর্তির মত অপলকচক্ষে সেই দিকে চাহিয়া দাঁড়াইয়া ছিল।

জগদ্ধাত্রী ঘর হইতে বাহির হইয়া কহিলেন, অরুণ চলে গেল?

নিরুপমা ফিরিয়া দাঁড়াইল, বলিল—হাঁ।

কিসে জল খেলে?

জলের বদলে যে জিনিস তুমি দিয়ে গেলে মা, তেষ্টা ঘোচবার পক্ষে সেই কি যথেষ্ট নয়?

মা মুহূর্তকাল মৌন থাকিয়া শান্ত তীক্ষ্ণকণ্ঠে বলিলেন, বটে! আচ্ছা, একটা কথা তোকে জিজ্ঞেস করি বাছা, ওদের সম্বন্ধে কিছু বললেই তুই এমন বিঁধে বিঁধে কথা কোস কেন বল ত। ওর একটি কথা দেখচি তোর সামনে—

বাহির হইতে ডাক আসিল, বলি জগদ্ধাত্রী আছিস গো? এবং সঙ্গে সঙ্গেই একটি প্রবীণ ব্যক্তি—